Description
বিশ্বশান্তি নষ্টের কারণ হিসাবে এক সময় অভিযোগের আঙুল তোলা হতো আদর্শবাদী শিবির বিভাজনের দিকে। সেই শিবির বিভাজন নেই। কিন্তু অশান্তি বেড়েছে বই কমেনি। ইঙ্গ-মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র এখন অনেক সমস্যা তৈরি করে চলেছে, বিশেষ করে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র নীরব দ্ব›দ্ব, নেপথ্যে রাশিয়া।
আন্তর্জাতিক অশান্তিই শেষ কথা নয়। সামরিক শক্তির উচ্চাকাক্সক্ষা ও আরও একাধিক কারণে ঘরোয়া অশান্তি, এমনকি জাতিগত ও সম্প্রদায়- ভিত্তিক নিপীড়নের মাত্রাও কম নয়, কোথাও কোথাও তা কখনো গণহত্যার নৃশংসতায় পৌঁছে। এটা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়- এই অজুহাতে আন্তর্জাতিক শক্তি নিষ্ক্রিয়। অথবা সেসব ঘটনা নিয়ে পরাশক্তি নিজ স্বার্থে হয় সক্রিয়, কিংবা দ্ব›েদ্ব অবতীর্ণ। আর জাতিসংঘের সেসব ক্ষেত্রে দুর্বল অকার্যকর, আমি বলি লোক দেখানো ভ‚মিকা।
যেমন মিয়ানমারে সামরিক জান্তার, বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যার কারণে বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর ভিড়, জাতিসংঘ ত্রাণসেবা দিয়েই সন্তুষ্ট। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সমস্যা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ হয়তোবা চীনের মিয়ানমার সমর্থন। আশ্চর্য, সব পরাশক্তি এ ব্যাপারে নীরব। এ সম্পর্কে বাংলাদেশের ক‚টনৈতিক তৎপরতা কোনো কাজে আসছে না। মিলছে শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস। এমন যে মিত্র ভারত, সেও এ ব্যাপারে নীরব। শুধু মৌখিক আশ্বাস- যা নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার ঝুলি পূর্ণ।
Reviews
There are no reviews yet.