Description
“দেশ সাহিত্যিক আর কবি কনশাস হয় ঠিক কবি বা লেখকের মৃত্যুর পর। মৃত্যু একটা রুড শক দিয়ে লোককে সচেতন করিয়ে দেয়—একটু অনুতাপ—একটু ভাব এর উপর বুঝি-বা অবিচার করা হয়েছে। মৃত্যুর অব্যবহিত পরই রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছেন বিভূতি বন্দ্যোপাধ্যায়– নরসিংহদাস প্রাইজ পেয়েছেন মোহিতলাল—ভারত সরকারের Academy Prize পেয়েছেন জীবনানন্দ দাস” (‘ব্যক্তিগত দিনলিপি’)৷ ”
বিগত লেখকদের সম্পর্কে সতীনাথ ভাদুড়ীর এই ব্যঙ্গতীক্ষ্ণ সত্যভাষণের দুর্ঘটনা সৌভাগ্যক্রমে তার জীবনে দেখা দেয়নি। বরং প্রথম উপন্যাস ‘জাগরী’ প্রকাশ মাত্রই রবীন্দ্র-পুরস্কারে সম্মানিত হয়। তবু নামের মোহ, যশের আশা, প্রশংসা বা সম্বৰ্দ্ধনা উপহার সম্পর্কে তিনি একেবারেই নিরাসক্ত ছিলেন। এই প্রবাসী বাঙালী লেখক সম্পর্কে সৈয়দ মুজতবা আলীর মন্তব্য: “তিনি লেখকের লেখক”। কথাটি বাঙলা সাহিত্যে তাঁর অনন্য ভূমিকা রচনা করে। তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির কাল স্বল্প (১৯৪৮-১৯৬৫ খ্রীঃ), গল্প উপন্যাসের সংখ্যা নামমাত্র। অথচ বিষয় সম্পর্কে তার বিদগ্ধ মানসিকতা, সমাজপ্রদর্শন প্রসঙ্গে গভীরতর চিন্তা-ভাবনা, আঙ্গিক নিয়ে নিত্যনব পরীক্ষা প্রমাণ করে সতীনাথ স্বল্পতম সৃষ্টি করেও বিরলতম শিল্পী।
Reviews
There are no reviews yet.